পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ করার প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। ওই ঘটনায় বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহীন হাওলাদার বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০০৭–সহ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯–এর ৩৪ ধারার ৪(ঘ) লঙ্ঘন করেছেন।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯–এর ৩৪ ধারাটি ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা ও অপসারণ করাসংক্রান্ত। ৪ (ঘ) উপধারায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান বা সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ থেকে অপসারণযোগ্য হবেন, যদি তিনি অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোনো অর্থ বা সম্পত্তির কোনো ক্ষতিসাধন বা আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন। আইনের ব্যাখ্যায় ‘অসদাচরণ’ বলতে ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছাকৃত কুশাসন বোঝানো হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে বিয়েসংক্রান্ত খবর প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করেন। তিনি বিয়ের কাবিননামা, স্কুল থেকে কিশোরীর জন্মতারিখসহ কাগজপত্র সংগ্রহ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরী এক তরুণের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিল। বিষয়টি জানার পর কিশোরীর বাবা বিচারের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের (৬০) কাছে নালিশ করলে চেয়ারম্যান সালিস বৈঠকের আয়োজন করেন। ইউপি কার্যালয়ে দুই পক্ষের সালিসি বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার কিশোরীকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় এবং চেয়ারম্যান নিজেই মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান নিজের পছন্দের কাজিকে ডেকে শুক্রবার দুপুরে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন।
Leave a Reply