নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায়’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক আইডি ও মেসেঞ্জারে একাধিক মেয়ের সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক মেসেজ স্কিনশট গোপন সূত্রে বরিশাল ক্রাইম ট্রেস’র হাতে আসে।
এতে দেখা যায়, সোনা বন্ধু বলে আখ্যা দিয়ে, চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায় একটি মেয়ের ছবিকে নিয়ে একের পর এক অশালীন ও নোংরা ভাষা ব্যবহার করেন, এছাড়াও বেশ কয়েকবার তার যৌনাঙ্গের চিত্র ঐ মেয়েকে পাঠান। এছাড়াও বেশ কয়েকবার মিস কল ও ভিডিও কলেও পরস্পরের সাথে কথা বলার প্রমান পাওয়া যায়। তথ্য সূত্রে দেখা যায়, একাধিক আইডির সঙ্গে তিনি এমন চরিত্রহীন, অশালীন, নোংরা, অসামাজিক কথাবার্তা বলেন। যা একজন চেয়ারম্যান হয়ে কিভাবে এসব নোংরা কথাবার্তা উচ্চারণ বা লেখা যায় এটাই বড় ভাবনার বিষয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, হারতায় কিছু দিন আগেও সরকারি চাল আত্মসাৎ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় একজন রিপোর্টার প্রকাশ করলে, তাকে মামলা হামলার ভয়ভীতি দেয়।
উপজেলার হারতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায়’র আমলনামা দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৯১ সালে তিনি ওয়ার্কাস পাটির রাসেদ খান মেনন এমপি. এর হাতুড়ি মার্কার সমর্থনে নির্বাচন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টির গোলাম ফারুক অভি এমপি. এর লাঙ্গল মার্কার সমর্থনে নির্বাচন করেন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এমপি এর ধানের শীষ মার্কার সমর্থনে নির্বাচন করেন। ২০০৮ সালে তিনি বিএনপির এস. সরফুদ্দিন আহাম্মেদ সান্টুর সমর্থনে নির্বাচন করেন। উল্লেখ ২০১০ সালে তিনি হারতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু সুনীল কুমার বিশ্বাস’র সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের একক নির্বাচনে তিনি কুল-কিনারাহীণ হয়ে এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি’র সমর্থনে নির্বাচন করেন। এরপর আর তাকে পিছনে তাকাতে হয়নি, বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে তিনিই এখন ইউনিয়নের সব চেয়ে বড় আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে নিজেকে মনে করেন। এতে বোঝা যায় ক্ষমতা যখন যার তিনিও তখন তার।
একের পর এক নানাবিধ কারনে হারতা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেকেই তার এমন আচরণে ভেতরে ভেতরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে।
আরো জানা যায়, তার পিতা. সাবেক চেয়ারম্যান মৃত. কুশিশ্বর রায় কোন দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। ৭১ ‘র তৎকালীন রাজাকারদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সাথে সাথে পিচ কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি, মুক্তিযোদ্ধারা তার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে।’
Leave a Reply