সৈকত বাড়ৈ :-
এশিয়া মহাদেশের সব চেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার খ্যাত ঝালকাঠির ভীমরুলি। এই বাজারটি দিন দিন দেশের মানুষের কাছে ভাসমান বাজার হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ায় বাড়ছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। উন্নয়ন হয়েছে ভীমরুলি গ্রামের অনেক রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার। এক সময়ের অজোপাড়া গাঁয়ের মাটির রাস্তা এখন অনেক জায়গায় প্রসস্থ সড়ক পথ। শুধুমাত্র নৌ-পথ কেন্দ্রীক সেই ভীমরুলিতে এখন চলাচল করে মহাসড়কের ছোট পিকআপসহ নানা যানবাহন।তবে কিছু জরুরি রাস্তায় এখনো কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যেমন ভীমরুলি বাজার থেকে কুড়িয়ানা বাজারে যাওয়ার রাস্তার অনেকটাই এখনো খানা-খন্দে ভরা, রয়েছে কিছু ভাঙ্গা কালভার্ট। যে রাস্তাটি দিয়ে ভীমরুলির হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এমনকি শতাধিক স্কুল-কলেজ পড়ূয়া ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের পথ এটা। তাই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতের সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারন জনগন সহ স্কুল-কলেজ পড়ূয়া ছাত্র ছাত্রীদের।
অন্যদিকে পর্যটকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পেয়ারা বাগানের মধ্যেই গড়ে উঠেছে ছোট ছোট অনেক মিনিপার্ক। তবুও হাসি নেই চাষীদের মুখে। করোনার কারনে পেয়ারার সঠিক দাম না পাওয়ায় ও প্রকৃত চাষীরা কোন স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে সমবায় সমিতি বা এনজিও থেকে উচ্চসুদের ঋণ মেটাতেই মুছে যায় মুখের হাসিটুকু। তাই যদি অত্র এলাকার অনুন্নত সড়ক গুলোকে চলাচলের উপযোগী করা যায় ও প্রকৃত চাষীদের মধ্যে সরকারিভাবে কোন সল্প সুদে ঋনের ব্যবস্থা করা সহ চাষীরা যদি পেয়ারার সঠিক মূল্য পায়, তাহলে চাষীদের মুখে হাসি ফুটতে পারে বলে জানান ভীমরুলির প্রকৃত পেয়ারা চাষী সহ সর্বস্তরের জনগন।
Leave a Reply