নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলগেট থেকে বরলা, দুরশ্চিমপাড়া হয়ে ঢাকা মহাসড়ক পর্যন্ত রাস্তাটির অবস্থা বেহাল দশা। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও দীর্ঘদিনেও সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাত গ্রামের মানুষকে।গ্রামগুলো হলো- বরলা, দুরশ্চিমপাড়া, নাওতোলা, কাঁঠালি, কৈইয়া, ভাবিয়াপাড়া ও রামপুর। এছাড়াও আশপাশের এলাকার কয়েক হাজার মানুষও এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য বলা হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। কিছু জায়গায় স্থানীয় জনগণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করলেও বর্তমানে সড়কটির এমন বেহাল দশা যে, তাতে গাড়ি দূরে থাক হেঁটেই চলা দায়। স্থানীয় ভাবিয়াপাড়ার অধিবাসী আবুল কালাম জানান, এ রাস্তার এমন বেহাল দশা, সোনাইমুড়ী পৌরশহরে অসুস্থ কোনো রোগী নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। স্থানীয় বরলা ও দুরশ্চিমপাড়ার কয়েকজন জানান, তাদের গ্রাম থেকে ঢাকা মহাসড়ক পর্যন্ত রাস্তার নাজুক পরিস্থিতি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ৭নং ওয়ার্ডসহ কয়েক গ্রামের বাসিন্দারা। কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছেন। তবে এবার সেই উপায়ও নেই। পুরো রাস্তাজুড়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দের। শুধু গাড়িচালক নয়, পথচারীদের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে সড়কটি। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক মোহাম্মাদ রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি চালাইয়া সংসার চালাতে পারব না মনে হয়। অন্য কাজও জানা নাই, কি করে সংসার চালাব ভেবে পাই না। মনে হয় না খেয়ে মরতে হবে। এ রাস্তায় গাড়ির বহুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। এতে বহুলোক আহত হয়েছে। কোন সময় জীবন হারাতে হয় তার গ্যারান্টি নাই।’
৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খোকন বলেন, ‘রাস্তাটি খুব খারাপ অবস্থায় আছে। রাস্তাটি সংস্কার হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে মেয়র সাহেবকে বলা হয়েছে।’সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র ভিপি নুরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর কয়েকটি রাস্তা দিয়েছে। তার মধ্যে এ রাস্তাটি আছে কি-না আমি দেখব। রাস্তাটির বেহাল অবস্থা জেনেছি। এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার নেয়া হবে।’
Leave a Reply