কলারোয়া প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর হোসেনঃ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন কলারোয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন। আর মাঠে তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, সাংবাদিক, বাজর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ,গ্রাম পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ প্রমূখ । অদৃশ্য এ শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। সামনে সারি থেকে যারা এ লড়াইয়ে জীবনবাজি রেখে কাজ করে,তাদের মধ্যে অন্যতম হলো কলারোয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন। করোনা যুদ্ধে উপজেলার পরতে পরতে বিরামহীন ভাবে ছুটে চলার মানুষটির নাম আক্তার হোসেন । সারা দেশের মানুষ যখন করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে ব্যাস্ত, ঠিক তখন অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার। উপজেলার নজির বিহীন কাজ করেন আক্তার হোসেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণের পূর্বেই দূর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেন এই সহকারী কমিশনার। স্বাস্থ্য সচেতনাতামূলক বার্তা, করনীয় নির্দেশনা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। সেই সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার খাদ্য সামগ্রী, মানবিক সহায়তা বিতরণে ও করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহে সহযোগীতা প্রদানসহ মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি, মাইকিং, কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়নে তদারকি, রোগীদের বাসা-বাড়ি ও আশপাশ এলাকা লকডাউন বাস্তবায়ন, মহাসড়কসহ গ্রামের বাজারগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, আইসোলেশনে থাকা রোগীদের খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সহযোগীতাসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে এই মানুষটি। এক কথায় করোনা মোকাবেলায় প্রশাসনের সকল কাজে সহযোগীতা করে যাচ্ছে এই করোনা যোদ্ধা সহকারী কমিশনার ভুমি আক্তার হোসেন। করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্যসামগ্রী ও সরকারি অনুদান বিতরণসহ সব ধরনের কাজে সম্পৃক্ত বিনিময়ে কিছু না পেলেও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে তিনি আনন্দিত। আর তরুণ প্রজন্মের মাঝে মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এ দেশপ্রেম দেখে গর্বিত কলারোয়াবাসী। সহকারী কমিশনার (ভুমি) আক্তার হোসেন বলেন, আমি এই উপজেলার মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে গর্বিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে কাজ করতে গিয়ে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ভয় ও ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করে চলেছি। তার পরও আনন্দ পেয়েছি, এই উপজেলার মানুষকে ভালো রাখার জন্য কাজ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় কাজগুলো করতে পেরেছি। তিনি আরোও জানান, সামনের সারি থেকে জীবণবাজি রেখে শুধু মাত্র জনগণের সুরক্ষার জন্য কাজ করি। কলারোয়া হাসপাতাল ও অগের চাইতে অনেক সেবা পাচ্ছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান । তবে ডাক্তারদের আরোও আন্তরিক হওয়ার জন্য আহবান করেন তিনি।
Leave a Reply