সুমাইয়া আক্তার শিখা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে একই দিনে দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার ১আগষ্ট সকাল সাড়ে আটটায় গোবিন্দগুনিয়ায় ও বিকেল ৩টায় হালসা এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গ্রামে সকাল সাড়ে আটটায় জহুরুল মিস্ত্রির বড় মেয়ে ইরিন জামান বৃষ্টি(১৯)ডাকনাম বিথী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন।
আড়াই বছর পূর্বে বিথির বিয়ে হয় ভেড়ামারার সাতবাড়িয়া গ্রামের পিয়াস বিশ্বাসের সাথে।
ইতিমধ্যে তিনি আক্রান্ত হন জটিল টিউমার রোগে।চিকিৎসা নেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বিথির বাবা জহুরুল মিস্ত্রি জানান-আমি সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ি।মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দিয়ে উন্নতি না হওয়ায় টিউমারজনিত যন্ত্রনায় কাতর হয়ে সকাল সাড়ে আটটায় ঘরের ডাবের সাথে গলায় ফাঁস দেয় বিথি।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, সকালে বিথির আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে তার পিতার বাসায়,তাই পরিবারের দাবিতে পোষ্টমর্টেম করা হয়নি। তবে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।
আত্মহত্যার অপর ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা ষ্টেশনের পাশে শাকদহচর রেলক্রসিং কাঠালবাগানে।
বিকেল ৩টায় স্থানীয় লোকজন গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলওয়ে সীমানায় লাশ দেখতে পায়।পরে পোড়াদহ জি আরপি থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
পোড়াদহ জি আর পি থানার ডিউটি অফিসার এস আই শাহাবুদ্দিন জানান,প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে।লাশের কোন পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply