এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার অত্যাধুনিক ও ব্যতিক্রমী শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন নিউ প্রতিশ্রুতি কিন্ডার গার্টেন এন্ড স্কুল। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে নিরলসভাবে নিয়োজিত অভিজ্ঞ শিক্ষকরা। মনোরম পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে উপকৃত শিক্ষার্থীরা। ফলশ্রুতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পেয়েছেন পাঠাদানের অনুমতি। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস জেলা শিক্ষা অফিসারের।
নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাচা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শিক্ষানুরাগী শহিদুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে ২০০৬ সালে নাগেশ্বরী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করেন “নিউ প্রতিশ্রুতি কিন্ডার গার্টেন এন্ড স্কুল”। অত্র প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি লগ্ন থেকে স্কুলের পরিচালক, প্রধান শিক্ষক ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষা দিয়ে আসছেন। এতে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করায় জেলায় ব্যাপক সু-নাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ১১১জন এবং কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থী শিশু থেকে এসএসসি পর্যন্ত এক হাজার ৪৩৫ জনের স্কুলের নিজস্ব ৩ তলা ভবনের ৪২ কক্ষে সিসি ক্যামেরার আওতায় চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের স্কুল যাতায়াতের সুবিধার্থে বাস ২টি ও মিনিবাস ৬টি। দরিদ্র ৪৯ জন শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে পাঠদান ও বাসে বিনা ভাড়ায় করাচ্ছেন যাতায়াত।
করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ ১৮ মাস প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাপ্রাঙ্গণ। অত্র প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া শেষে দেশের বিভিন্ন নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নসহ অনেকে ভালো পজিশনে চাকরী করে জীবন অতিবাহিত করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকদিন পর স্কুল খুলেছে কি যে আনন্দ লাগছে বন্ধুদের ফিরে পাব। শিক্ষদের ফিরে পাব এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে এসেছি। শিক্ষকরা আমাদের সুন্দরভাবে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
অভিভাবকরা জানান, করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকরা আমাদের ছেলে মেয়েদের সু-শিক্ষার আলো বিকাশে নিয়মিতভাবে লেখাপড়া করাচ্ছেন। কুড়িগ্রাম জেলার অত্যাধুনিক ও ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি।
স্কুলের একাডেমিক প্রধান মোঃ আব্দুল মোত্তালিব (জাদু) বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ল থেকে আমি সকল বিষয়ে দেখভাল করছি। বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত হয়েছে। প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় উল্লসিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
শিক্ষকরা জানান, করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালক ও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসারে ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মতবিনিময়ে মনোরম পরিবেশে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আদর-স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছি।
প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মোকছেদা বেগম (স্মৃতি) জানান, শিক্ষক-কর্মচারী সকলের সমন্বয়ে আমরা সঠিকভাবে পাঠদান করে আসছি। মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাউকে যেন আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়াতে না হয় সেদিকে নজর রাখছি। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়ালেখা করতে পারে সে বিষয়ে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম জানান, বিদ্যালয়টির পাঠাদানের অনুমতি পেয়েছে। অনেক সুন্দর পরিবেশ ও সিসি ক্যামেরার আওতায় পাঠদান চলছে। নিজস্ব ভবনে পাঠদান ও যাতায়াতের সুবিধার্থে গাড়ি। আমি আশা করছি প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতের কুড়িগ্রাম জেলায় শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সু-নাম অর্জন করবে।
Leave a Reply