কলারোয়া প্রতিনিধিঃ কৃষিমন্ত্রী ও কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, দেশের কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন কৃষির জন্য । তারই ফলশ্রুতিতে আমাদের কৃষকরা অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে আজ । আমাদের দেশের যুবসমাজ বিপথগামী হতে যাচ্ছে, মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। কিছু কিছু মানুষ বিভিন্ন দলের নাম ব্যবহার করে ক্যাসিনো গড়ে তুলেছেন। তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে যে, টমেটো চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরোও বলেন, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ছেড়ে টমেটো চাষে আসুন। এ ব্যবসায় কাউকে হাতে হাতকড়া পড়তে হয় না। হতে হয় না আসামী।
রবিবার (১২ই সেপ্টম্বর) সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের কামারালী মানদাতলা মাঠে গ্রীস্মকালীন টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন কৃষকসহ উপস্থিত সকলকে।
মন্ত্রী বলেন, ”করোনা পরবর্তীকালে কৃষক ধরল হাল” দেশের দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা। এখানে লবণাক্ততার প্রভাব রয়েছে। তারপরেও আমাদের কৃষি গবেষকরা উচ্চ ফলনশীল গ্রীষ্মকালীন টমেটো জাত উদ্ভাবন করে সাফল্যতা অর্জন করেছেন । এখানকার কৃষকেরা এই ফসল চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, দানাদার খাদ্য আমরা সফলাতা অর্জন করেছি, এখন সবাইকে পুষ্ঠিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক কৃষিকে যান্ত্রিককরন করতে হবে। বর্তমান সরকারে অঙ্গিকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। টমেটো চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
তিনি বলেন এ বছর এখানে ৬৭ হেক্টর জমি টমেটো চাষ হয়েছে। আমি টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন করে অত্যান্ত খুশি হয়েছি , আমি চাই টমেটোর চাষ শুধু কলারোয়াতে নয়, পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ুক। যেন আগামীতে ৭০০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়। আমরা আশা করি, এখানকার উৎপাদিত টমেটা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারি। এ বছর পেঁয়াজের সংকট নেই। আমরা গ্রীস্মকালীন পেয়াজ চাষ করার নতুন বীজ উৎপাদন করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের গবেষকরা নতুন জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন। আগামীতে দেশে পেঁয়াজের সংকট থাকবে না।
মন্ত্রী-কৃষক আফছার সানার প্রথম টমেটো চাষের অভিজ্ঞতার বর্ণনা শোনেন। আফছার আলি বলেন গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ কলারোয়া উপজেলায় প্রথম শুরু করেন ২০০৪ সালে তিনি এবং মোঃ আইয়ুব আলী দু-জনে তারা যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে, গাজীপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ শুরু করেন।
গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ব্যাপকতা শুরু হয় ডি এই এর এনএ টিপি প্রকল্পের মাধ্যমে। বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় ৩৬৭ বিঘা জমিতে ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে বলেও জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আ”লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্জ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফালুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা ২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তক আহমেদ রবি, সিনিয়র সচিবসহ প্রাক্তন এমপি ইনজ্ঞিনিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির, আ”লীগের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ কর্মকর্তা, কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একাধিক কর্মকর্তাসহ টমেটো চাষীগণ। টমেটো চাষীরা কৃষি মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক এমপিকে ফুলেলে শুভেচ্ছা জানান।
Leave a Reply