নিজস্ব প্রতিবেদনঃ-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জ জেলায়, নৈতিক চরিত্র স্খলিত নারীলোভী জেলার মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিত বৈরাগী বহাল তবিয়তে কর্মরত আছেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ যশোর জেলার চাঁচড়া নিবাসী জনৈক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম গোপালগঞ্জ জেলার মৎস্য কর্মকর্তা জনাব বিশ্বজিত বৈরাগীর বিরুদ্ধে নারী ঘটিত অপকর্মের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন সচিব মহোদয়ের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ জনাব বিশ্বজিত বৈরাগী বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পে উপ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যশোরে কর্মরত থাকার সময় একই প্রকল্পের আউট সোসিং কর্মচারী শিপ্রা সরকারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেন।
জনাব বিশ্বজিত বৈরাগীর স্ত্রী ভারতে বেড়াতে গেলে শিপ্রা সরকারকে নিয়ে তার যশোরের বাসায় কয়েকদিন রাত্রিযাপন করেন বলে জানাযায়। তাছাড়া সাতক্ষীরা জেলাধীন শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে দুইদিন রাত্রিযাপন করেন তিনি। জনাব বিশ্বজিত বৈরাগী শিপ্রা সরকারকে নিয়ে রাত্রিযাপন কালে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকা অবস্থায় তার নিজ মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে অশ্লীল স্থির ছবি ধারণ করে। সে ছবিগুলো তার অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটারে রাখে। সেখান থেকে সেগুলো ফাঁস হয়ে যায়।
এছাড়াও জনাব বিশ্বজিত বৈরাগী যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সেই সব উপজেলায় নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে মোঃ মজিনুর রহমান, উপ-পরিচালক, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য অধিদপ্তর, বয়রা, খুলনা এবং মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ঢাকা সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ২৩-৯-২০২০ তারিখে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ মোতাবেক উক্ত ছবিগুলো এডিটিং বা ফটোগ্রাফিক কারসাজির মাধ্যমে তৈরী কি না তা যাঁচাই এর জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন আইটি বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া হয়। তিনি মতামত দেন যে, ছবিগুলো প্রকৃত, কোন প্রকার এডিটিং বা ফটোগ্রাফিক কারসাজির মাধ্যমে তৈরী নয়।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও আইটি বিশেষজ্ঞের মতামতের ওপর ভিত্তি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে ১৭-১২-২০২০ তারিখে বিশ্বজিত বৈরাগীর বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে না তার কারণ দর্শানো নোটিশ জারী করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্বজিত বৈরগীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয় কিন্তু এখনও পর্যন্ত মামলাটির কোন ফলাফল জানা যায়নি।
এদিকে বিশ্বজিত বৈরাগী মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন কূট কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এই ব্যাপারে বিশ্বজিৎ বৈরাগী কাছে জানতে চাইলে, তিনি মুঠো ফোনে বলেন এই সব তথ্য মিত্যে বানোয়াট।তিনি এব্যাপারে কোন মুখ খোলেননি। ও শিপ্রার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জ জেলায় বিশ্বজিত বৈরাগীর মত একজন নারীলোভী ও নৈতিক চরিত্র স্খলিত কর্মকর্তা কর্মরত থাকা সমগ্র দেশবাসী ও জাতির জন্য লজ্জাষ্কর বিষয়।
Leave a Reply