সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক নিরহ হাস-মুরগীর ওষুধ ব্যবসায়ী প্রতারনায় স্বীকার হয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি সোমবার (১আগষ্ট)দুপুরে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য-উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের মৃত সোনাই দেওয়ানের ছেলে হযরত আলী দেওয়ান বলেন-একই এলাকার প্রতিপক্ষ মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। আমার রামভদ্রপুর মৌজায় জেএল নং-১০০, সাবেক খতিয়ান-৭২০, সাবেক দাগ ১৫৫৮, হালদাগ-২৫৫৪, জমির পরিমান ৫০শতক যার মধ্যে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে ১৭.৫ শতক জমি আমার প্রাপ্য এবং ঐ দাগে অন্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে আমি ৩৩ শতক জমি ক্রয় করি। ঐ ৩৩শতক জমি আমার ভোগ দখলে আছে। কিন্তু ১৭.৫ শতক জমি আমার দখল না দিয়ে প্রতিপক্ষরা জোর করে ভোগদখল করছে। আমি ২০১০সালে ৩১ধারায় আপিল করি। আপিল নং-২২৬১৪/১০। ২২ফ্রেরুয়ারী ২০১০ ইং তারিখে আমার দিন ধার্য ছিল। আমি মুহুরী আতিয়ার সরদার ওই দিন সকাল ৯টার সময় সেটেলমেন্ট অফিসে হাজির হতে বলে। আমি সেটেলমেন্ট অফিসে আসিলে মুহুরী খুবই ব্যাস্ততা দেখায় এবং আমার কাছ থেকে হাজিরা খাতাই সহি করে নেয়। আমি অল্প শিক্ষিত বুঝতে পারি নাই হাজিরা খাতা নাকি অন্য কিসে সহি করে নিয়েছে। তারপর মুহুরী আমাকে অপেক্ষা করতে বলে। মুহুরী আমাকে দুপুর ১২টার দিকে বলে আজকে আমাদের মৌজা ধরবে না, অন্য দিন হবে। যেদিন হবে তোমাকে জানাবো। মহুরী পরে আর কোন কিছু আমাকে জানাই নাই। এখন আমি শুনছি যেটাই সহি করেছিলাম সেটা নাকি নাদাবি পত্র ছিল। ঐ ৫০শতকের মধ্যে অন্য লোকের কাছ থেকে ৩৩শতক জমি ক্রয় করি সে জমিও না দাবি করে নিয়েছে। অবশ্য সে জমি আমার ভোগ দখলে ও প্রিন্ট পর্চা আমার নামে আছে। আমি প্রকৃত পক্ষে ওই জমির কোন নাদাবি দেই নাই বা স্বাক্ষর করে নাই। এনিয়ে আমি উপজেলার যুগিখালী বাজারে মেম্বরসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিচার শালিশ হলে প্রতিপক্ষরা তা মেনে নেয় নাই। বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ ও সুবিচার প্রর্থনা করছি।
Leave a Reply