গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁওঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পটুয়া-ভগদগাজী কাঁচা সড়কে ধানের চারা লাগিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ওই রাস্তার পাইকপাড়া গ্রামে শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে রাস্তার কাদা জাম হওয়া স্থানগুলোয় ধানের চারা রোপন করে। একই সড়কে ২০১৮ সালে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ধানের চারা রোপন করার পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
জানা যায়, কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন পথচারীরা যানবাহন নিয়ে রাস্তার গর্তে পড়ে আহত হচ্ছেন। কাদায় মাখামাখি হয়ে পোশাক নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, জেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মধ্যে এটি একটি কাঁচা সড়ক। জেলার উত্তরের শেষ রুহিয়া হয়ে দক্ষিণে রাণীশংকৈল উপজেলার একমাত্র সোজা রাস্তাটি মাঝখানে প্রায় ৫ কিলোমিটার (পটুয়া-ভগদগাজী) কাঁচা। এর মধ্যে পাইকপাড়ার ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। কাঁচা সড়কটি পাকা করার জন্য স্থানীয় সরকারের প্রকৌশল অধিদপ্তর একাধিকবার মাপজোখ করলেও আজও পাকা হয়নি।
এমনকি কাঁচা রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা হচ্ছেনা দীর্ঘদিন থেকে। পাইকপাড়ার রাস্তাটি কাঁচা। কিন্তু জেলা সদরে প্রবেশে সহজ হওয়ায় সদরের পাইকপাড়া, গোয়াপাড়া, বালাপাড়া জামালপুরের জামালপুর, বড় দিঘী, ফুটকিবাড়ী, বিশ্বাসপুর, ভগদগাজী, পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁও, চাপাপাড়া, রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার, বাংলাগড়, ফতেপুর, রাতোরসহ হাজার হাজার মানুষের চলাচলের সড়ক এটি।
সদর উপজেলার পাইকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাসেদুর রহমান বলেন, ‘রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী নয়। সড়কে কাদার পরিমাণ এত বেশি যে অনেক মুসল্লি মসজিদে আসতে পারে না। শিশুরা মাদ্রসায় আসে না।’
ওই গ্রামের বৃদ্ধ খাতিবর রহমান বলেন, ‘বাড়ির বাইরে রাস্তায় গেলে ভয়ে চলাফেরা করি কখন যে পা পিছলে পড়ি। রাস্তাটি পাকা করার জন্য অনেকবার মাপজোখ হয়েছে, কিন্তু পাকা আর হয়নি। রাস্তায় যেহেতু চলাচল করা যায় না, সে কারণে ধানের চারা লাগিয়েছি। দেখি যদি সরকারের দয়া হয়।’
পাইকপাড়ার মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রাস্তায় কাদার কারণে ভোগান্তি সঙ্গে করে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কাদায় স্লিপ করে পড়ে আহত হচ্ছেন। রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরি।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকৌশলী ঈসমাইল হোসেন বলেন, ‘পটুয়া-ভগদগাজীর রাস্তাটি মেগা প্রজেক্টে আছে। প্রজেক্ট পাশ হলে কাজ শুরু হবে। আপাতত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।
Leave a Reply