মো: রাসেল সরকারঃ রাজধানী ডেমরায় অবৈধ ভাবে তিতাস গ্যাস সংযোগের সিন্ডিকেটের হোতা আসাদুজ্জামান আসাদ। তার নেতৃত্বে চলছে ডেমরায় বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও কলকারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ। সে একটি কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিলে প্রথমে এক লাখ থেকে দের লাখ এবং আবাসিক বাড়ি ৫০০০০ থেকে ৮০০০০ টাকা নেওয়া অভিযোগ রয়েছে। আবাসিক বাসায় চুলা প্রতি মাসে মাসে টাকা নেয়। শিল্প প্রতিষ্টান থেকে মাসে ১০০০০ থেকে ২০০০০ টাকা নেওয়া অভিযোগ রয়েছে। সে তিতাস গ্যাসের কোন কর্মচারী নয়। অথচ তিতাস অথচ গ্যাসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে অবৈধ সংযোগ দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
অফিস-২ টিকাটুলি ব্যানারজী রোড হাটখোলা ঢাকা তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গ্যাস সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আসাদুজ্জামান আসাদ। দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় এবং রাজস্ব ফাঁকির একটি অন্যতম কারণ অবৈধ সংযোগ। এর কারণে একদিকে যেমন গ্যাসের সমবণ্টন হয় না, গ্যাসের সংকট সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়। বিধিমালায় তাই সাধারণ সংযোগ, মিটার এবং সিএনজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবৈধ সংযোগের জরিমানার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সম্পূর্ণ চোরাইভাবে বাইপাস লাইন, মিটার ট্যাম্পারিং, খাতায় নাম-ঠিকানা না তুলেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ ইত্যাদি নানা কৌশলে গ্যাস চুরি-লোপাটের ঘটনা অবলীলায় ঘটে চলছে। মাঝে মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সংঘবদ্ধ গ্যাস- চোর-লুটেরাদের নানা ধরনের তদবিরের কারণে এসব অভিযান খুব একটা কাজে আসে না’।
এ ব্যাপারে অফিস-২ টিকাটুলি ব্যানারজী রোড হাটখোলা ঢাকা তিতাস গ্যাস এর ডিজিএম মামুনুর রসিদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলে তিনি তা রিসিভ করেন নাই। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, বাসাবাড়ি, হাউজিং কমপ্লেক্স, বেসরকারি সিএনজি স্টেশনসমূহে চোরাই গ্যাসের লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ দিয়ে এবং অনেক জায়গায় অনুমোদনের অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করে। এসব দুর্নীতিবাজ চক্র প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
Leave a Reply