বিশেষ প্রতিনিধি;
সাতক্ষীরার তালার জেঠুয়া বাজারের সন্নিকটে প্রবল স্রোতের জোয়ারে কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বাঁধটি ভেঙ্গে ২টি ইউনিয়নের অনন্ত একাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।
এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তালার শালিখায় টিআরএম প্রকল্পের সংযোগ মুখ বেঁধে দেয়ার কারণে প্রবল জোয়ারের স্রোত জেঠুয়া বাজারের সন্নিকটে কপোতাক্ষ বাঁকে আঁছড়ে পড়ছে। ফলে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে এ বাঁধটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয় “বিসমিল্লাহ ব্রিকস ” এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ্জ্ব হাফেজ জহুরুল ইসলাম, আইডিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রামপ্রসাদ দাশ, জালালপুর ইউনিয়ন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সহ এলাকার জবেদ আলী, ওলিউর রহমান, স.ম আহাদ, সাবেক মেম্বর মোফাজ্জেল হোসেন, কার্তিক চন্দ্র রায়, ব্যবসায়ী সুকুমার ঘোষ, আবুল কালাম, আলতাফ হোসেন জানান, কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতের কারণে জেঠুয়া বাজর সংলগ্ন স্থানে যে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তা শীঘ্রই সংস্কার প্রয়োজন। তা না হলে এই বর্ষা মৌসুমে যে কোন মূহুর্তে কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙ্গে জেঠুয়া বাজার, জালালপুর, নেহালপুর, ধূলাণ্ডা, বারুইপাড়া, চরগ্রাম, কৃষ্ণকাটি, আটঘরা, কানাইদিয়া ও জেটুয়া গ্রাম সহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়বে। এলাকার ৩টি বাজার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা, সমজিদ,মন্দির, মাদ্রসা সহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। পানিবন্ধী হয়ে পড়বে অত্র এলাকার মানুষ।
এ সময় বাঁধটি মেরামত সহ স্থায়ী ভেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন ভাঙ্গন এলাকার মানুষ।
বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ড যশোর এর এসও ফিরোজ হোসেন বলেন,শুনেছি কপোতাক্ষ নদের শালিখা অংশে টিআরএম’র মুখ বেঁধে দেয়ার কারণে জেঠুয়া সহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ের কারণে যশোর সাতক্ষীরা লকডাউন থাকায় এলাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। লকডাউন উঠে গেলে যত দ্রুত সম্ভব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান,এলাকায় সরেজমিনে দেখেছি টিআরএম’র মুখে বাঁধ দেয়ার কারণে কপোতাক্ষের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে দূর্ঘটনা ঘটতে পরে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply