কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।
আজ পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সুন্দর বন তৃনমূল দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বিধায়ক জয়দেব হালদার। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সুন্দর বন বিভাগের তৃনমূল দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন মগরাহাট পূর্বে র বিধায়ক শ্রীমতী নমিতা সাহা। আজ পশ্চিম বাংলার তৃনমূল দলের রাজ্যে কমিটি থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির কোন স্থায়ী তৃনমূল দলের কমিটি না থাকার দরুন সাবেক সুন্দর বন জেলা তৃনমূল দলের সভাপতি যগোরন্জন হালদার কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আমলে বহু বিধানসভা কেন্দ্রের প্রকৃত তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা ঠাঁই না পেয়ে বিভিন্ন দল থেকে আগত আয়ারাম গোয়া রাম দের নিয়ে প্রথম সারিতে ঠাই দেবার অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দল থেকে আগত নেতা কর্মীদের নিয়ে পুরাতন মাঠে ময়দানে নেমে কাজ করা কর্মীদের বসিয়ে তাদের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। যার প্রতিবাদ সরূপ মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের দুই টি দলে ভাগ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও পতাকা নিয়ে লড়াই করতে দেখা যায়। একই অবস্থা ডায়মন্ডহারবার ও ফলতা মগরাহাট পূর্বে সহ বিভিন্ন যায়গায়। এখন দেখার বিষয় গত ২০২১,শে, মাঠে ময়দানে খেটে লড়াই করা নেতা ও কর্মীদের কতটা গুরুত্ব দেন। না যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও পতাকা সামনে রেখে কিছুর বিনিময়ে অন্যদল থেকে নেতা ও কর্মীদের গুরুত্ব দেন। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা জয়দেব হালদার দীর্ঘদিন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র রাজনীতি র সাথে জড়িত ছিলেন। এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ভেঙে যখন তৃনমূল দল তৈরি হয় তখন থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আছেন। এবং বহু তৃনমূল দলের গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে তার বড় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তিনি সুন্দর বন তৃনমূল দলের সভাপতি হওয়ার আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার তৃনমূল দলের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি টি ইউ সি র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন দেখার বিষয় তিনি গোষ্ঠী কন্দল তৃনমূল দলের সভাপতি হিসেবে কতটা ভূমিকা পালন করতে পারেন তা লাখ টাকার প্রশ্ন সামনে পড়ে রয়েছে।।
Leave a Reply