করোনার আগ্রাসনে দেশে মৃত্যু হার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। এমতাবস্তায় পরিত্রান পাওয়ার উপায় হিসাবে মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় দেশে শাটডাউন ঘোষণা দেওয়ার চিন্তা করছেন।। কিন্তু শাটডাউন ঘোষণা করার আগেই চিন্তা করতে হবে, যে সমস্ত এলাকায় সরকার শাটডাউন ঘোষণা করবেন সেই সমস্ত এলাকার সকল জনগণের ঘরে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে কিনা ? বিগত দিনে আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে দেখেছি, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শেখ হাসিনার সরকার যেই বরাদ্দ দিয়েছিলেন বাংলার ইতিহাসে এই বরাদ্দ ছিল নজিরবিহীন বরাদ্দ। কিন্তু আমার প্রশ্ন যারা বরাদ্দ পাওয়ার উপযুক্ত এবং যোগ্য তাদের অনেকেই সরকার ঘোষিত বরাদ্দের কিছুই পাননি, অথচ সরকার মহোদয় যে বরাদ্দ দিয়েছিলেন সেটা ছিল গরিব-দুঃখী এবং অসহায় দের জন্য একমাত্র বরাদ্দ। আমাদের দুর্ভাগ্য যারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য, তারা কিন্তু বরাদ্দ পাচ্ছে না। বরাদ্দ পাচ্ছে সেই সকল ব্যক্তিবর্গ যারা বরাদ্দ পাওয়ার উপযুক্ত নয় । তাই সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শাটডাউন ঘোষণা করার আগে যেসব এলাকায় খাবারের সুনিশ্চিত এর ব্যাপারে সরকার ঘোষিত সকল আয়োজন রেডি, সেই সকল আয়োজনের সু বন্টন এর জন্য বলবো – যেখানে আমাদের সরকারি কর্মচারীগণ প্রতিটি বাসায় মাস শেষে সকলের পানির বিল যথাসময়ে বন্টন করতে পারেন, ঠিক একই কায়দায় শট ডাউন চলাকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক দেওয়া খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেটগুলো প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি ভাড়াটিয়ার হাতে পৌঁছে দেওয়া তেমন একটা কঠিন কাজ নয় বলে আমার অভিমত। তোফাজ্জল হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি।
Leave a Reply