পরকীয়ার জেরে বাবা খুন,মা জেলে-দুই সন্তানের কি হবে?
সোহেলের সেই প্রেমিকার বিচার হবেনা?
০১.
ফুটফুটে দুটো বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবলে গাঁ হিম হয়ে আসে। পরকীয়ার জেরে মায়ের হাতেই নৃশংসভাবে খুন হয় বাবা। মাও খুনের দায় নিয়ে জেলে। কিন্তু ওদের কি হবে? এমন প্রশ্ন- শুধু আমাকে নয়, আরো অনেককেই নাড়া দিচ্ছে বারংবার।
০২.
গেল সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকায় মো. সোহেল (৩৫) নামে দুবাই প্রবাসী এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রী শিউলী। মঙ্গলবার (২৪) আগষ্ট আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবিন্দ দিয়েছে সে।
ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত প্রায় ৭ ঘন্টাব্যাপী এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
০৩.
স্বীকারোক্তিতে শিউলী যা বলেছে তাতে তাকে কিভাবে তাকে দোষারোপ করা যায় ঠিক ভেবে উঠতে পারছিনা। আইন হাতে তুলে নেয়াই হয়ত তার বড় অপরাধ।
০৪
আদালতে সে বলেছে-২০১৪ সালে বিয়ে হয়। ১৬তে জানতে পারে সোহেলের সাথে দুবাইতে এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। সে দেশে আসলেও সেই মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখতো। আমার কাছে সে স্বীকার করতো না।এ নিয়ে প্রায় ঝগড়া হতো। মাঝে মাঝে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিত। সংসার খরচের টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিত। গত বৃহস্পতিবার ঘটনার রাতে ওই মেয়েকে নিয়ে ঝগড়া হয়।
এক পর্যায়ে সোহেল মৌখিকভাবে আমাকে তালাক দিয়ে আমার ও তার পরিবারের অনেককে ফোন করে। ওদের ফোনে বলে আমাকে সকালে দেওনা পাওনাসহ নিয়ে যেতে।এক সময় সোহেল আমকে সংসারের চাবি দিয়ে দিতে বললো। আমি তখন কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। রাগে ক্ষোভে তাৎক্ষণিক হত্যার সিদ্ধান্ত নিলাম। সোহেল তখনও মোবাইল টিপাটিপি করছিল। বটি দিয়ে ঘাড় কোপ দিলে সে বসা থেকে মাটিতে পড়ে যায়।
০৫.
আদালতে মাকে দেখতে আসে তার দুই অবুঝ শিশু। তারা জানে শিউলী তাদের মা। এবং এটাই তাদের কাছে মূখ্য। এ জন্যই তারা মায়ের জন্য ব্যাকুল। তাদের কান্নায় পুরো আদালত পাড়ায় যেন হাহাকার শুরু হয়ে যায়। মাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিচারকের কক্ষে ওরা আদালতের বারান্দায় বেঞ্চে বসে থাকে মাকে এক নজর দেখার জন্য।
০৬.
ওরা ওদের মাকে ফিরে পেতে চায়। বাবার চেয়েও ওদের মাকে বেশী দরকারী। দেশের আদালত কি তাদের এ প্রয়োজনটা বুঝবে? মায়ের শাস্তি লঘু করবে?
আদালত লালন পালনের জন্য দাদীর জিম্মায় দিয়েছেন অবুঝ এ দুই শিশুকে। দাদী বলেন আর যা
Leave a Reply