চুয়াডাঙ্গা’র জীবননগর থানাধীন দেহাটি গ্রামের সেন্টু শাহ এবং দর্শনা থানাধীন আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের জেসমিন খাতুন ইসলামী শরীয়া মোতাবেক ২০১৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার জীবনে নুসরাত ফারিয়া জান্নাত(০২) নামে একটি শিশুকন্যা জন্মগ্রহণ করে। সুখে স্বাচ্ছন্দে চলছিল তাদের সুখের সংসার। স্বামী-স্ত্রীর সামান্য মতবিরোধ ও মান-অভিমানের কারণে সুখের সংসারে ভাঙ্গন ধরে। সেন্টু সিদ্ধান্ত নেয় বিবাহ বিচ্ছেদের। স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদের ঘটনা সংক্রান্তে জেসমিন পুলিশ সুপারের কার্যালয় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মহোদয়ের দিক- নির্দেশনায় ও অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা জনাব এ.এইচ.এম লুৎফুল কবীর এর মধ্যস্থতায় এএসআই রজিবুল হক উক্ত অভিযোগের তদন্তভার গ্রহণ করে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তিনি উপলব্ধি করেন নুসরাত ফারিয়া জান্নাত নামের শিশুটি কোথায় দাঁড়াবে? কার কাছে থাকবে? নিস্পাপ শিশুটির কি অপরাধ? এএসআই রজিবুল হক পূর্বের সুখময় জীবন ফিরিয়ে দিতে আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে স্বামী স্ত্রী তাদের ভুল বুঝতে পারেন। একপর্যায়ে তারা ফিরে পায় তাদের সুখের সংসার এবং অবুঝ শিশু নুসরাত ফারিয়া জান্নাত ফিরে পায় তার বাবা মাকে।
Leave a Reply