জেলা প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিভাগের বাঁশখালীতে এক নারী বৈদ্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ঘাতক যুবককে আটক করেছে। সোমবার (১২ জুলাই) এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, খুন হওয়া ফাতেমা বেগম (৪২) গ্রামীণ বৈদ্য’ সেজে লোকজনকে ঝাড়ফুঁক করতেন ও তাবিজ-কবচ দিতেন। এহসান নামে এক যুবক তার পছন্দের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। তাকে বশে আনার জন্য ফাতেমা বৈদ্যের কাছ থেকে একবছর আগে একটি তাবিজ নেয়।
এহসানের দাবি, ওই তাবিজ শরীরে বাঁধার পর তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। সুস্থ হওয়ার জন্য সে আরও কয়েকটি তাবিজ নেয়। কিন্তু মেয়েটিকে প্রেমে রাজি করাতে পারেনি। তখন আবার ফাতেমার শরণাপন্ন হলে তাকে সোমবার সকালে একটি ডাব নেওয়ার জন্য বাড়ি যেতে বলে। এহসান সকালে ফাতেমার বাড়ি যায়। তাকে ঘরের ভেতর বসিয়ে ফাতেমা একটি ডাব দিয়ে জানায়, সেটি মন্ত্র পড়ে দেওয়া হয়েছে, এবার মেয়েটি রাজি হবে। ডাব কেটে খাওয়ার জন্য তাকে একটি দা দেওয়া হয়। কিন্তু এহসানের হঠাৎ মাথায় রাগ উঠে যায়। সে দা দিয়ে ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাধা দিতে গেলে ফাতেমার মেয়েসহ আরও তিনজনকে আহত করে।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত চারজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। স্থানীয় লোকজন এহসানকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খুন হওয়া ফাতেমা বেগম (৪২) মধ্যম শীলকূপ গ্রামের মোস্তাক আহমেদ শিকদারের স্ত্রী। আহতরা হলেন- ফাতেমার মেয়ে পাখি আক্তার (২০) এবং প্রতিবেশি রাবেয়া বেগম (৩৫) ও তার মেয়ে বৃষ্টি (১০)। গ্রেফতার মোহাম্মদ এহসান (২২) বাঁশখালী উপজেলার মাইজপাড়া এলাকার মো.ইব্রাহিমের ছেলে।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, বেলা ১১টার সময় বাঁশখালী থেকে আহত চারজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। ডাক্তার ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনের অবস্থাও গুরুতর। তাদের ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply