মোঃ রাসেল সরকার// ফারদিন নূর পরশ হত্যাকাণ্ডের এক হন। পরে ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা মাস হয়ে গেলেও ‘রহস্য’ উন্মোচিত না হওয়ায় হতাশা নদীর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা। তবে তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও ঘড়ি সব তার সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছিল।
আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। দ্রুত তদন্তের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার তারা বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছেন। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা। তিনি সন্তান হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ফারদিনের লাশ উদ্ধারের প্রায় এক মাস অতিবাহিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের পিটুনিতে ফারদিন মারা গেছে। রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি এবং হত্যাকারীরা চিহ্নিত হয়নি। আমরা প্রথম থেকেই দ্রুত তদন্তের জন্য দাবি করে আসছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ ফারদিনের লাশ প্রাপ্তির ২৯তম দিনেও আমরা জানি না- কী কারণে আমাদের বন্ধু ফারদিনকে হত্যা করা হল। এমতাবস্থায় তদন্তের এই দীর্ঘসূত্রতা দেখে আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা অনেক আশাহত।
মানববন্ধনে তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ এবং ছায়াতদন্তকারী সংস্থা র্যাবের পরস্পরবিরোধী তথ্যের আরও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিন নূর পরশের খুনিদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছি। বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ গত ৪ নভেম্বর নিখোজ প্রকাশ করেছেন।
ফারদিনের বাবার করা মামলায় তার এক বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় রামপুরা থানা পুলিশ। এরপর আইনশৃংখলা বাহিনীর বরাতে সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে চনপাড়ায় মাদক বিক্রেতাদের
মানববন্ধনে ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। এখনও পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থাগুলো কোনো অগ্রগতি জানাতে পারেনি, এটা অত্যন্ত হতাশার।
আরেকটি বিষয়, তার নামে যে বিভ্রান্তমূলক তথ্য ছড়িয়েছে, এটা তাদের জন্য কষ্টকর। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হোক এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। এটা একটা দুঃখজনক ব্যাপার, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠী ও বন্ধুকে হারিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু বুয়েট প্রশাসন বা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহমর্মিতা দেখা যায়নি। এ সময় তদন্ত দ্রুত শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন নূরউদ্দিন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাশে দাঁড়ালেও বুয়েট প্রশাসনের নীরবতায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply