মিরু হাসান
বগুড়া জেলা সংবাদদাতা
০২ ডিসেম্বর ২০২২খ্রিঃ
বগুড়ার শেরপুরে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে চালগুলো পাচার ও কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মো. গোলাম মোস্তফা (৫৫)। তিনি উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আতাহার আলী মুন্সীর ছেলে। বর্তমানে শহরের খন্দকারপাড়াস্থ এলাকার বাসিন্দা। পাশাপাশি পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
শুক্রবার (০২ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর গ্রামের সড়ক থেকে চালগুলো উদ্ধারপূর্বক ওই আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃতসহ খামারকান্দি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) একই ইউনিয়নের ঝাজর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে শাহ জামাল স্বপন (৪৫), মাগুড়াতাইর গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫০), গাড়ীদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল গফুর বাবু (৩৮) ও শহরের হাটখোলা এলাকার হযরত আলীর ছেলে নজরুল ইসলামকে (৪২) অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ার তাইর গ্রামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজে বিক্রি হচ্ছে- গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালান। পরে সরকারি গুদামের সিলমোহর যুক্ত বস্তায় তোলা ত্রিশ কেজি ওজনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৯বস্তা চালবোঝাই দুইটি ভটভটি (নসিমন) আটক করেন। চালগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) শাহজামাল স্বপনের গোডাউন থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে শহরের হাটখোলা এলাকার টিসিবির পরিবেশক (ডিলার) নজরুল ইসলামের গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এরপর সরকারি চালগুলো উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এসময় আ.লীগ গোলাম মোস্তফা চালগুলো নিজের দাবি করে ছেড়ে দেওয়ার দাবি করেন। তবে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। পরবর্তীতে ওই আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি ও পাচারের সময় ২৭৯ বস্তা চালসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় আরও চারজন অভিযুক্ত ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
Leave a Reply