বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে বসতঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধূ।
আসামিরা বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন। তার স্বামীকেও ধরে নিয়ে মারধরের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে বসতঘরে আগুন দেয় কয়েকজন প্রতিবেশী। এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর চারজনকে আসামি করে মামলা করেন দৌলতপুর ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের আব্দুল কাহারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫০)।
আসামিরা হলেন- মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে দিলশাদ মিয়া (৪৫), মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল খালিক (৫০), ডালিম (২৬) ও মজম্মিল আলীর ছেলে আব্দুর রব (৪০)।
এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টো বাদী পক্ষকে নানা হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মামলার বাদী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার তিনদিন পর ১৭ ডিসেম্বর আসামিরা আমাকে রাস্তায় আক্রমণ করে। এ সময় তিনি প্রাণ বাঁচতে পার্শ্ববর্তী ছাতক থানার লাকেশ্বর গ্রামের আব্দুল হান্নানের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
আসামি দিলশাদ মিয়াসহ ৭/৮জনের একটি দল তার পিছু নিয়ে ‘চোর’ বলে ওই বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। পরে বাড়ির মালিক আব্দুল হান্নানের ভাই আব্দুল গফ্ফার ও স্থানীয় সাবেক মেম্বার আজিজুর রহমানের হস্তক্ষেপে রক্ষা পান আমার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল মোল্লাকে জানানো হলে ওইদিন রাতেই আমার বাড়িতে গিয়ে খারাপ আচরণ করেন।
পরে নিরুপায় হয়ে গত রোববার পুলিশ সুপারের কাছে যাই। পরে পুলিশ সুপার ওসিকে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় সোমবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ফাতেমা বেগম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার আসামি দিলশাদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাদীর স্বামী আব্দুল কাহার আমার ঘরে হামলা করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করায় তাকে ধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
বাদিনীর স্বামীকে ধরে নেয়ার চেষ্টার ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও আসামি দিলশাদ মিয়া শিকার করেছেন।
তিনি বলেন ওইদিন বাদিনীর স্বামী তার ঘরে হামলা করে স্বর্ণালংকার লুটপাট করায় তাকে ধরে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিশ্বনাথ থানার এসআই সাইফুল মোল্লা বলেন, আব্দুল কাহারকে মারধরের বিষয়টি নিয়ে বাদীর বক্তব্য আমার কাছে সত্য মনে হয়নি।
কারণ বাদীর স্বামী বয়স্ক। তার পক্ষে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী থানায় এলাকায় যাওয়া সম্ভব নয়।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া আগুন দেওয়ার ঘটনার মামলাটি তদন্তাধীন আছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply