হারুনর রশিদ,
মহেশখালী,কক্সবাজার।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল১১ টায় মহেশখালী উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত তথ্য অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শরীফ বাদশা, তথ্য অধিকার বিষয়ে প্রধান আলোচক ছিলেন তথ্য কমিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ সালাহ উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক সুপারভাইজার ফজলুল করিম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শরীফ বাদশা, মহেশখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আশিক ইকবাল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান খান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মীর কাসেম, তথ্য কমিশন ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও অবহিতকরণ সভায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা হলে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে, দূর্নীতি হ্রাস পাবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশের উন্নয়নের গতিধারাকে বেগবান করার জন্য, টেকসই গণতন্ত্র ও সুশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার ও চর্চা বাড়াতে হবে।
তথ্য জানার ও পাওয়ার বিষয়ে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নির্দিষ্ট আবেদন ফরম ক অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তথ্য কমিশন, প্রবিধান ধারা, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তথ্য প্রকাশ, প্রচারের অনুসরনীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে তথ্য প্রদান করবেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হতে পারে এ রকম তথ্য প্রচার করা যাবেনা। ২০ কার্য দিবসের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। তথ্য সরবরাহে অপারগ হলে ১০ কার্য দিবসের মধ্য ফরম খ অনুযায়ী আবেদনকারীকে জানাতে হবে। ফরম গ অনুযায়ী সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল আবেদন করতে পারবেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান মতে যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক সেহেতু জনগনের ক্ষমতায়ন ও অধিকার সুনিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রণীত হয়েছে।
Leave a Reply