ডেস্ক রিপোর্টঃ
মেবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করায় রাবেয়া খাতুন (১৩) নামের পাইকগাছার এক স্কুল ছাত্রী ঢাকার নারায়ণগঞ্জে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ এলাকায় আনার পর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রবিবার (২৫ জুলাই) আনুমানিক সকাল ৮টার দিকে নারয়নগঞ্জের একটি একটি ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করে সে। রাবেয়া পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামের রাজ্জাক গাজীর মেয়ে এবং নারায়নগঞ্জ এলাকার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পিতা-মাতাসহ তার এক বোনজামাই কর্মসূত্রে গত ৫ বছর ধরে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ থানার মদনপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিল। পিতা রাজ্জাক সেখানকার টোকন নামের এক ব্যবসায়ীর অধিনে কাজ করত। আর মা কাজ করতো অলিম্পিক কিস্কুট ফ্যাক্টরীতে।
মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করায় অভিমান করে কিশোরী রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।
কিশোরী রাবেয়া উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামের রাজ্জাক গাজীর মেয়ে। পিতা-মাতা সহ তার বোন জামাই কর্মসূত্রে ৫ বছর যাবৎ নারায়ণগঞ্জের সোনার গাঁ থানার মদনপুর এলাকায় ছিল। রাবেয়ার পিতা টোকন নামের এক ব্যবসায়ীর অধিনে কাজ করতো এবং মা অলেম্পিক বিস্কুট ফ্যাক্টেরীতে কাজ করতো।
ঘটনার দিন রবিবার সকালে পিতা-মাতা কাজে বেরিয়ে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাবেয়া ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সকাল ৯ টার দিকে নাস্তা করতে বাসায় ফিরে তার পিতা ও বড় বোন ভেতর থেকে দরজা আটকানো দেখে অনেক ডাকা-ডাকির পর সাড়া না পেয়ে জানালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার আলবারাকা হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঐ দিন রাত আনুমানিক ৯টার দিকে তার পরিবারের লোকজন লাশ নিয়ে পাইকগাছায় পৌছায়। বিষয়টি জানতে পেরে থানা পুলিশ সোমবার (২৬ জুলাই) লাশ উদ্ধার করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে রাবেয়ার বড় বোন রাজিয়া জানায়, রাবেয়া সব সময় মোবাইলে গেম খেলতো। ঘটনার আগের দিন তাকে মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করা হয়। আর পরের দিন সকালে সে আতœহত্যা করে।
তাদের ধারণা, মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করায় সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজ শফী জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় মৃতদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপরে যদি কেউ আইনগত ব্যবস্থা নিতে চায় তাহলে তারা ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জে মামলা করতে পারবে।
Leave a Reply