নিজস্ব প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সাবরিনা রহমান ও তার লোকজন।বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলায় সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্ককের নাম ইউএনও সাবরিনা রহমান বলে জানাই এলাকাবাসী।রাস্তা থেকে এক কৃষকের ট্রাক্টর নিচে ফেলে দিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আফরোজ গঞ্জের হামরকোনা এলাকায়,অসহায় কৃষকের নাম সোলেমান মিয়া।সে আফরোজগঞ্জের হামরকোনা এলাকার মোঃ তাজু মিয়ার ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,সদর উপজেলার ইউএনও সাবরিনা রহমান হামরকোনা এলাকার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কৃষক সোলেমান মিয়া তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন পাওয়ার ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় ইউএনও ট্রাক্টর সহ রাস্তায় সুলেমান মিয়াকে দেখতে পেয়ে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তার ট্রাক্টর টি রাস্তা পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। এসময় সোলেমান মিয়া স্যার স্যার বলে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেও ইউএনও সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি। এ বিষয়ে কৃষক সোলেমান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এই টাক্টর দিয়ে উপার্জন করে আমি আমার পরিবার চালাই।ইউএনও স্যারকে বারবার অনুরোধ করার পরেও তিনি কোনো কথা না শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ট্রাক্টরটি পুকুরে ফেলে দেয়।এর ফলে আমার ট্রাক্টরটি বিকল হয়ে যায়। এটি দিয়ে ইনকাম না করতে পারলে আমার পরিবার-পরিজন না খেয়ে থাকবে বলে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।অসহায় কৃষক সোলেমান মিয়া হাউমাউ করে কেঁদে বলছিলেন আমি এখন কি করবো? কিভাবে চলবে আমার সংসার?এ রকম আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে ইউএনওর বিরুদ্ধে।গত ২৫ শে জুন ২২ ইং তারিখে রা সদর উপজেলার পার্শ্ববর্তী পৌর মার্কেটে ইউএনও সাবরিনা হঠাৎ করে উপস্থিত হয়ে সেখানে থাকা গরীব, অসহায় মানুষের ছোট ছোট দোকানপাট পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।এতে করে পথে বসে যায় সেখানকার ক্ষুদ্র দোকানিরা।ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন,ইউ এন ও ম্যাডাম কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে তার লোকজন নিয়ে এসে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে আমাদের দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।তারা আরও বলেন, এখানে ব্যবসা করে আমরা সংসার চালাই।হঠাৎ করে এভাবে আমাদের দোকান ভাঙ্গার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের এখন না খেয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।ব্যবসায়ীরা বলেন আমরা কার কাছে বিচার দিব।আমাদের একমাত্র ভরসার স্থল আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার এহেন আচরণে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।এ বিষয়ে ইউএনও সাবরিনা রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন ট্রাকটরের লোহার চাকা, পাকা রাস্তার উপর দিয়ে যাচ্ছিল তাতে রাস্তার ক্ষতি হবে বলে, আমি পাশে মাটির রাস্তা দিয়ে যেতে বলেছিলাম কিন্তু পাশে নিতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। আর পৌর মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর বিভিন্ন দোকান বসিয়ে কিছু ব্যক্তি ভাড়া তুলতো আমি এবং একজন ম্যাজিট্রেট সহ রাস্তার উপর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছি। এই জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তি আমার নামে বদনাম রটাচ্ছে।
Leave a Reply