আব্দুল খালেক সুমন:
টার্ফে খেলা নিয়ে আপত্তি ছিল বসুন্ধরা কিংস, উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের। শনিবার উদ্বোধনী দিনে খেলা ছিল ওই তিন দলের দুটির। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল কিংসের, আবাহনীর প্রতিপক্ষ ছিল উত্তর বারিধারা। কিন্তু কিংস ও উত্তর বারিধারা, কোনো দলই মাঠে আসেনি। উদ্বোধনী দিনে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির দায় ক্লাবগুলোর কাঁধেই চাপিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ৩৩তম আসরের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল শনিবার। কিন্তু কিংস ও উত্তর বারিধারা মাঠে আসেনি। তাদের দুই প্রতিপক্ষ অবশ্য এসেছিল মাঠে। কিংস ও উত্তর বারিধারার টার্ফে খেলতে অস্বীকৃতি জানানো নিয়ে রাতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুর্শেদী। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি জানান, ক্লাবগুলোর শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসার কারণ বুঝতে পারছেন না তিনি।
‘সবশেষ মিটিংয়ে ১২ দলের সবাই উপস্থিত ছিল। যেহেতু আমাদের মাঠ সংকট এবং সীমাবদ্ধতা আছে, তাই কমলাপুরে টুর্নামেন্ট হবে। সব কিছু মিলিয়ে ক্লাবগুলো একমত পোষণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা কাপ শেষ হয়েছে এবং ফেডারেশন কাপ আয়োজন করছি। একটা আলোচনা বা মিটিংয়ে যারাই আসে, ক্লাবের যোগ্য প্রতিনিধি আসে। এখানে সবাই যে একমত প্রকাশ করে এমন নয়। তবে যখন অধিকাংশের মত এক হয়, তখন আমরা সেটেই করি।’
এ দিনের না হওয়া ম্যাচ দুটির ভাগ্যও জানিয়ে দিলেন মুর্শেদী। ‘বাইলজ অনুযায়ী যা হওয়ার, তাই হবে। যারা এসেছে তারা পূর্ণ পয়েন্ট পাবে এবং গোলের একটা ব্যাপার আছে। এখানে সমন্বয়হীনতার কিছুই নেই। যেহেতু পেশাদার লিগ কমিটি ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কোন ক্লাব সিদ্ধান্ত বদলালে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। যত দূর পর্যন্ত অন্য গ্রুপের খেলা না হবে, ততক্ষণ আমি এটা নিয়ে কথা বলব না।’ মুক্তিযোদ্ধা সংসদও যদি নিজেদের ম্যাচ খেলতে না আসে, তাহলে তিন গ্রুপে হবে না গ্রুপ পর্বের খেলা। গুঞ্জন আছে, ‘সি’ গ্রুপের তিন দল সাইফ স্পোর্টিং, চট্টগ্রাম আবাহনী ও বাংলাদেশ পুলিশ এই পরিস্থিতিতে সরে দাঁড়াতে পারে। তবে সালাম বললেন, টুর্নামেন্ট চলবে নিয়ম মতো। ‘এই দায় ক্লাবগুলোর। সব কিছু ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই হচ্ছে। তারা এত অর্থ ব্যয় করে দল গঠন করেছে খেলার জন্যই। আমি তো মাঠের সীমাবদ্ধতার কথা আগেই বলেছি। তাই লিগের জন্য ঢাকার বাইরের ভেন্যু চূড়ান্ত করেছি। ফেডারেশন কাপ চলবে। এর কোনো পরিবর্তন হবে না। কাল ম্যাচ না হলে, তখন দেখা যাবে কী করা যায়। যারা আসে নাই, তারাই ভুল করেছে। এখন যা-ই হবে, সব বাইলজ অনুযায়ীই হবে। এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই। রেফারি যখন মাঠে নামে, দল চলে আসেৃ সব কিছু বাইলজ অনুযায়ী হয়, এখন এটা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে চলে যাবে। বাইলজে যা আছে, ডিসিপ্লিনারি কমিটি সেই সিদ্ধান্ত নিবে।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সম্মানিত সদস্য ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নূরুল ইসলাম নূরু, রিয়াজুল করিম, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ সহ বাফুফের সম্মানিত সদস্য বৃন্দ।
Leave a Reply