আব্দুল খালেক সুমন বিশেষ প্রতিনিধি।
আজ ১৮ অক্টোবর সোমবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আদরের ছোট ভাই শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর অফুরন্ত ভালোবাসার সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থা এবং দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনসমূহ।
দিবসটি উদযাপনের শুরুতেই আজ সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পাস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এসময়ে শহীদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরনকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী সকাল ১০ টায় শহীদ শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং ফেডারেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে কিছু সময়ের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গনভবন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদান করেন এবং দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত নানা কর্মসূচির প্রশাংসা করেন। শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শিশু কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন এবং ফেডারেশনের উদ্যোগে শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রকাশিত “শেখ রাসেল: শৈশবে ঝরে যাওয়া ফুল” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এছাড়া শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উদযাপনের অংশ হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে শহীদ শেখ রাসেলকে অসময়ে ঝরে যাওয়া এক ফুটন্ত গোলাপ হিসেবে বর্ণনা করে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে শহীদ শেখ রাসেলের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান। সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন বলেন, শহীদ শেখ রাসেলের মধ্যে ছোট্ট বয়সেই জাতির পিতার মানবিক গুনাবলী বিকশিত হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত অতিথিপরায়ন এবং পরোপকারী ছিলেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর যুব ভবনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী । এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদান করেন। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শহীদ শেখ রাসেলকে বিশ্বের সকল শিশু কিশোরদের জন্য অন্তহীন অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন ও মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বিকেএসপিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও কেক কেটে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন আয়োজিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ দাবা প্রতিযোগিতা শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল গ্রান্ডমাস্টার দাবা প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ১৮ টি দেশের ১০৪ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহন করবে এবং মোট প্রাইজমানি ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার।
সকল কর্মসূচিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার প্রধানগন ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply