মোঃ রাসেল সরকার//
লোভনীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষিত-বেকারদের থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করা চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে উত্তরার দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের প্রধান মো. মজিবুর রহমান (৪২), তার দুই নারী সহযোগী জান্নাতুল ফেরদৌস ময়না (২০) ও লাবনী আক্তার (২৩)।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৪টি মোবাইল, ৬০টি সিম কার্ড, ১৪৮টি বায়োডাটা, ৪০টি জাতীয় পরিচয় পত্র, ৩০টির বেশি ভুঁইফোড় কোম্পানি বা এনজিওর নামে তৈরি করা নিয়োগপত্র ও রাবার স্ট্যাম্প সিল জব্দ করা হয়।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সাইবার ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল মাসুদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরায় নারী-শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নামে অফিস খুলে বিভিন্ন পত্রিকায় নামিদামি প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় বেতনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিত চক্রটি। লোভনীয় বেতনের চাকরির ফাঁদে শিক্ষিত-বেকাররা যোগাযোগ করলেই শুরু হতো প্রতারণা। চাকরি বাবদ জামানত ও দামি ল্যাপটপ,মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করত তারা।
এমন অভিযোগ আসলে, অভিযান চালিয়ে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের প্রধান মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে তারা প্রায় ২৫ হাজার চাকরি প্রত্যাশীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। কৌশলে তারা চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগেও চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে মুজিবুরকে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বের হয়ে এসে একই কাজ করে আসছিলেন।
Leave a Reply