স্টাফ রিপোর্টার : শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও একধিক অনলাইন নিউজ পোর্টালে তাদের অনিয়ম-দূর্নীতির খবর একাধিকবার প্রকাশ হওয়ায় নিজেদের গাঁ বাঁচাতে স্বাস্থ্য কতৃপক্ষের বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। এবং যশোর থেকে প্রকাশিত একটি আঞ্চলিক দৈনিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজেদের ধোয়া তুলশি পাতা সাজিয়ে একটি নাটকীয় প্রতিবাদ দিয়েছে। যা দেখে এলাকার বাসীর মধ্যে হস্যকর সৃষ্টি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তারা একই স্থানে কিভাবে দ্বায়িত্ব করে সে ব্যাপারে এলাকাবাসী জানতে চেয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বেসরকারী ক্লিনিকি ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ। সেই সাথে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন শিশু চিকিৎসা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে তাদের অনিয়ম-দূর্নীতির খবর একাধিকবার প্রকাশ হলেও অজানা কারনে বছরের পর বছর ধরেই বহাল তবিয়তে একই কর্মস্থলে থেকে অর্থ বানিজ্যের মহোৎসবে মেতেছেন এ দুই কর্মকর্তা। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারের সহিত সপ্তাহ চুক্তিতে পাঠাচ্ছে রোগী, সাথে দিচ্ছেন ব্যবস্থাপত্র। ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন অপ্রয়োজনীয় ওষুধ যা রোগীদের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর হয়ে ওঠছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মশিউর রহমানের পোস্টিং শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও রফিকুল ইসলামের পোস্টিং গোগা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে। ঐ দুই জায়গায় ডিউটি না করে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে রোস্টার ডিউটি করেন। আর এ সুযোগে অনিয়ম-দূর্নিতির আশ্রয়ে হয়েছেন অর্থবিত্তের মালিক। এলাকাবাসী এই দুই দূর্ণিতিবাজ উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাসহ অন্যত্র বদলি করার জোর দাবি জানিয়েছেন। #
Leave a Reply