পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে পটুয়াখালীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষার্থীদের প্রাণোচ্ছ্বল হাসি আর তাদের পদচারণায় মুখরিত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। সবারই চোখে-মুখে আজ খুশির ঝিলিক। স্কুল প্রাঙ্গণ আবারও সেই চিরচেনা রুপে। যেখানে শিক্ষার্থীরা আবার সশরীরে ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন আর শিক্ষকরাও পাঠদান করছেন। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার চোখে-মুখেই ছিল খুশির ঝিলিক।
তবে এ আনন্দের সঙ্গে অভিভাবকদের আছে উদ্বেগও। তবে সব মিলিয়ে আনন্দে আপ্লুত শিক্ষার্থীরা। যে কারণে রোববার সময়ের অনেকে আগেই কলেজে চলে এসেছে শিক্ষার্থীরা। পটুয়াখালী সরকারি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম ইসলাম ঊর্মি বলেন, কলেজ খোলার আগের দিনগুলো খুব বোরিং ছিল। আর বাসায় বসে থেকে কিছুটা আলসে ভাব ধরে যায়। আজকে কলেজ খোলার পর থেকে অনুভূতিটা একটু অন্যরকম। স্কুলে, কলেজে, মাদ্রাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার সঙ্গে এক মিলন মেলা। আমরা চেষ্টা করবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে লেখাপড়ার।
হাজিখালী ডিজিটাল স্মার্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ব্যাচের মোসা: মানসুরা আক্তার আক্তার বলেন, এতোদিন অনলাইনে ক্লাস করেছি। এখন স্কুলে এসে ক্লাস করবো। এখন সহপাঠী এবং স্যার-ম্যাডামদের সাথে কথা বলতে পারবো, ক্লাস করতে পারবো। খুবই ভালো লাগছে।
আব্দুল করিম মৃধা কলেজ এর বিএম শাখার শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন যাবত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে আমাদের বোরিং লাগতে ছিল, শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কারণে, আমাদের খুবই ভালো লাগতেছে।
কালিকাপুর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন বাদল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসেছে খুবই ভালো লাগছে। করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের আগমনে স্কুল আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। নোভেল করোনার কারণে বাংলাদেশে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর ৫৪৩ দিন পর চালু হয়েছে সশরীরে ক্লাস।
দীনিয়া আলিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন অনেকদিন পর বাচ্চাদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে গেল মাদরাসা আঙিনা। ঘণ্টাধ্বনির শব্দ পেল শিক্ষার্থীরা।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সেলিনা আক্তার জানান, বন্দিদশা ছেড়ে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। এটা আসলে কতটা আনন্দের তা ভাষায় ব্যক্ত করে বোঝানো যাবে না।
পটুয়াখালীর জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, নির্দেশনা মেনে জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে চলার জন্য বিশেষভাবে আহবান করছি। এবং প্রথম দিনেই আমরা সঠিকভাবে সরকারের নির্দেশনা মেনে পাঠদান সম্পন্ন করেছি, এবং আশা রাখছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারব।
Leave a Reply