ডেস্ক রির্পোটঃ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত শেষ করতে পারেনি ১০ বছরে। আজ পর্যন্ত ৯০ বার সময় নিয়েছে মামলাটির তদন্ত সংস্থা র্যাব। আগামী ২৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছে আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন এ দিন ধার্য করেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডের পর দশ বছরে সিএমএম আদালত এ তারিখসমূহ ধার্য করলেন।
এর আগে প্রথম মামলাটি তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ। তারপর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) দেওয়া হয়। দুই মাসের বেশি সময় ডিবি তদন্তের পর একপর্যায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত র্যাব এই ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। ওই ৪৮ ঘণ্টা এখন সাড়ে দশ বছরে পরিণত হলেও ফলাফল শূন্য।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে নিহত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ গ্রেপ্তার হন। যাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র পাল জামিনে আছেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি একটি মামলার তদন্ত শেষ করতে ৯০ দিন সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি। ফলে আইনের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি হত্যা মামলার বিচার করতে ৩০ বছর লেগে যায়। আমার প্রশ্ন একজন মানুষের ভাইকে কেউ হত্যা করল আজকে। ভাইহারানোর ব্যথার তার মনে আজকে যেমন আছে আগামী ১০ বছর পর কী এক রকম ব্যথা থাকে ? তাহলে মানুষ ন্যায় বিচারটা পেলো কোথায় ? স্বাধীনতার ৫১ বছরে আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারলাম না।
Leave a Reply