ডেস্ক রিপোর্ট : সাবেক ইউএনওর দূর্নীতি ঢাকতে মুজিব বর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭টি ঘর রাতের আঁধারে ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন, উপজেলার বর্তমান ইউএনও। দেশব্যাপী মুজিব বর্ষের উপহার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর নির্মাণে তুরুটি নিয়ে দূর্নীতির তদন্ত শুরু হলে সেই মূর্হুতে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি জেরিন কান্তার রক্ষা করতেই এই ঘর ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রামে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, তৈলকুপি গ্রামের ৭টি ঘর নির্মাণ করা হয় পুকুর পাড়ে। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সদ্য বদলিকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি জেরিন কান্তার ঘরগুলো নির্মাণ করেন। পুকুরপাড়ে ঘরগুলো নির্মাণ হওয়ায় তৈরীর সময় উপজেলা বাঁধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কথা আমলে না নিয়ে ঘরগুলি তৈরি বলে জানান। নির্মাণ কাজে ত্রুটির কারনে অল্প দিনের মধ্যেই ঘরগুলো ফাঁটল ও ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। পুকুর ভরাটের জন্য আরোও ৬ লাখ টাকা খরচ করেন উপজেলা অফিস থেকে। গত ৫ দিন আগে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৈলকুপি গ্রামের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর অন্যস্থানে তৈরীর জন্য বুল্ডেজার লাগিয়ে ভেঙে ফেলেন।
তালা-কলারোয়া-০১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লু’ফুল্লাহ এমপি বলেন, ওই ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো তিনি আরো বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে জানালে আমি বলি যে আপনাদের নিজস্ব অর্থায়নে পুনরায় ঘর করতে হবে সেই শর্ত সাপেক্ষে রাজি হয়ে তিনি ঘরগুলি স্থানান্তর করেছেন । এছাড়াও যে কারণে উপকারভোগীদের অনুমতিক্রয়ে ঘরগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকে বলেন, রাতের মধ্যেই ইটসহ বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘর নির্মানে ব্যাপক দূর্নীতি হয়েছে। ঘরে ফাঁটল দেখা দেয়। যেহেতু মুজিববর্ষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর। তদন্ত হচ্ছে। তাই দুনীঁতি ঢাকতে এটি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ৭টি ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ৩ থেকে ৪ মাস আগে তিনি যোগদান করেছেন। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সময়ে এ ঘর নির্মাণ করা হয়। পুকুর পাড়ে ঘরগুলি নির্মাণ হওয়ায় মাটি দিয়ে কিছুদিন পূর্বে প্যানাসাইটিং করা হয়। কিন্তু ভবিষৎতে বৃষ্টি হলে ধ্বসে পড়তে পারে। উপকার ভোগীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপিসহ উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ঘরগুলো ভাঙা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপকারভোগীদের জন্য সোনাবাড়ীয় ইউনিয়নের ভাদিয়ালিতে ঘরগুলি নির্মানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ এর প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে টিম যাবেন ওই এলাকায়। কোন অনিয়ম হলে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply