মোঃ আলাউদ্দিন মজুমদার শাহীন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত রোববার হতে পানি কমতে শুরু করছে। তবে এখনও দূর্গম চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়ি হতে পানি নেমে যায়নি। বন্যায় উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৫৫০ হক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এর মধ্যে আমন ধান ৫২০ হেক্টর এবং তালতরকারি ৩৫ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পরবর্তী ফসলি জমি হতে পানি নেমে গেলে সঠিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করা যাবে। চরাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলো এখনও নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেছে। বেলকা নবাবগঞ্জ চরের আকবর আলী জানান, তার ২ বিঘা জমির আমন ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এখনও জমি থেকে পানি নেমে যায়নি। আগামি ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে হয়তো ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, পানি কমতে শুরু করায় নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। অনেক ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, বন্যায় উপজেলার ৫৫৫ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ নির্ধারন করা সম্ভব। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে ফসলি জমি হতে পানি নেমে গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হবে।
Leave a Reply