হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উত্তরাঞ্জলে ঐতিহ্যবাহী সাটিয়াজুরী রেল স্টেশনটি বন্ধ ঘোষনার পর থেকে এলাকার জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। নষ্ট হচ্ছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ। এক সময় আশে পাশের শতাধিক গ্রামের লোকজন এ স্টেশন থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতেন। তখন একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যমই ছিল সাটিয়াজুরী রেল ষ্টেশন। যাত্রীদের পদভারে মুখরিত থাকত এ স্টেশনটি। দিনভর থাকত কর্মব্যস্ততা।
এলাকাবাসী জানায়, ব্রিটিশ আমলে এ রেল স্টেশনটি চালু হয়। সে সময় একাধিক ট্রেন থামত। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে এ স্টেশনে ট্রেনের সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে লোকার ট্রেন গুলো বন্ধ থাকার কারণে এ স্টেশনে কোন ট্রেনই থামছে না। এতে এ রেল স্টেশন একটি পরিত্যক্ত রেল স্টেশনে পরিণত হচ্ছে। তাছাড়া এ রেল স্টেশনে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্টেশন মাষ্টার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এ স্টেশনের সরকারী সম্পত্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রেল স্টেশন বলতে শুধু ব্রিটিশ আমলের সেই পাকা ভবনটিই আছে তাও আবার পশুপাখির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। অফিস কক্ষের দরজা জানালা গুলো ও ভেঙে গেছে। ভেতরে তাকালেে দেখা যায় অনেক জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, নষ্ট হচ্ছে অনেক মূল্যবান জিনিস।
সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট সরকার মোঃ শহীদ ও সমাজ সেবক সাংবাদিক কাজী সুজন জানান,এ রেল স্টেশনটি এক সময় খুবই জনপ্রিয় রেলওয়ে স্টেশন ছিল।
১৯৯৮/৯৯ সনে সরকার ষ্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষনা করলে এলাকার মানুষ রেল লাইন অবরোধ সহ বিভিন্ন কূমসুচি পালন করলে কতৃপক্ষ স্টেশন মাষ্টার আপ ও ডাউন ট্রেন স্টপিজ দিত। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই আবারও সরকার স্টেশনটিকে বন্ধ ঘোষনা করে। ফলে এলকার প্রায় শতাধিক গ্রামের জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ স্টেশন থেকে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মৃৎশিল্পীরা তারদের পণ্য গুলো বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন তাছাড়া ঐ এলাকার কৃষকরা খুব উপক্রিত হতেন এ স্টেশনের কারণে।
এলাকাবাসীর দাবি এ সাটিয়াজুরী রেল ষ্টেশনটি চালু করে ট্রেন স্টপিজ দিলে আবারও প্রান চাঞ্চল্য পাবে ষ্টেশনটি। দুর্ভোগ লাঘব হবে এলাকার শতাধিক গ্রামের।
Leave a Reply