জেলা প্রতিনিধিঃ ৩১ অগাস্ট ২০২১ রোজ মঙ্গলবার গ্রীন ভয়েস পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখার উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধের দাবিতে এবং চেংগী-সাঙ্গু ও কর্ণফুলী নদীসহ সকল নদী দখল-দূষণমুক্ত ও নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবিতে ছাত্র-যুব সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক জনাব আলমগীর কবির সামাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, সরকার আমাদের দাবী মেনে নিলেও বাস্তবায়নে সে রূপ সাফল্য আসেনি। সরকারের অনেক নীতি পরিবেশবান্ধব এটা আমরা লক্ষ করেছি। কিন্তু জনগণ সেই সুবিধা পাচ্ছে না। একচেটিয়াভাবে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মোট নৌপথের দৈর্ঘ্য ২৪,০০০ কিমি হলেও নৌপরিবহনযোগ্য নৌপথের দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৯৬৮ কিমি তাও সেটি আবার শুষ্ক মৌসুমে কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৩,৮৬৫ কিমি এ। নদী দূষণ ভয়াবহ এবং ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ ও কমে গেছে। এমতাবস্থায় ভূপৃষ্ঠের পানি যথোপযুক্ত সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সাচিনু মারমা বলেন, আমরা সারা বছর নদী রক্ষায় আন্দোলন করে আসছি। যারা নদী দখলের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা এবং তাদের এই জঘণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে দূর্বার অন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস এর রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক মুনছেফা তৃপ্তি এছাড়াও গ্রীন ভয়েসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দগণ।
বক্তারা আরো বলেন, একাদশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্য ছিল প্রায় দেড় হাজার। নদীগুলো ছিল প্রশস্ত, গভীর ও পানিতে টইটুম্বুর, বর্ষাকালে প্রমত্তা। সারা বছর নাব্যতা থাকে তেমন নদীর সংখ্যা আজ সর্ব সাকুল্যে ২৩০ টি। নদী রক্ষায় এই আন্দোলন চলমান থাকবে । আন্দোলনে সারাদেশের যুব সমাজ সম্পৃক্ত হচ্ছে। নদী রক্ষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সকল নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ ও চেংগী-সাঙ্গু ও কর্ণফুলী নদীসহ সকল নদী দখল-দূষণমুক্ত ও নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
Leave a Reply