দেশে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল করছে। গত কিছুদিন আগে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও রাতে বিরাতে দু-চারটি ইজিবাইক বা অটোরি- কশা রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে । অতীব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বুলডোজার দিয়ে যেই অটোরিকশাটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার চিত্রটি আপনারা দেখছেন, এটা নিম্নআয়ের কোন অভাগা ইয়াতিম মায়ের সন্তানের এই অটোরিকশাটি । হয়তো কোন এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থা অথবা শ্বশুরবাড়ি হতে যৌতুক নিয়ে অটোরিকশাটি খরিদ করিয়াছে । সম্মানিত প্রশাসনিক নীতি নির্ধারক ও নির্দেশদাতা গন আমি, সম্মানের সহিত আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, দেশে রাঘব বোয়ালদের বড় বড় শোরুম গুলো- তে হাজার হাজার ইজিবাইক এবং অটোরিক্সার যন্ত্রাংশ মজুদ রয়েছে । অটোরিকশা ও ইজিবাইক যদি দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার বা অর্থনৈতিক সমস্যা বা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আইন করে এই ইজিবাইক এবং অটো রিক্সার যন্ত্রাংশ আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেত। যেসকল শোরুমগুলোতে অটোরিকশা বা ইজিবাইক মজুদ আছে, সেই সকল মালিকদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া যেত। অতীব দুঃখের বিষয় আপনারা পরামর্শদাতারা তা না করে , যেই কায়দায় ওই গরিব মানুষগুলোর ইজি বাইকের উপর বুলডোজার চালিয়েছেন, ঠিক একই কায়দায় শোরুমগুলোতে মজুদকৃত ইজিবাইক গুলোতে বুলডোজার চালিয়ে ঘুড়িয়ে দিতে পারতেন, তাহলেই তো আর রাস্তায় কোন ইজিবাইক আপনাদের চোখও দর্পণে আসতো না। একটু চিন্তা করে দেখুন ৫০ লক্ষ ইজি বাইক চালিয়ে কত লক্ষ পরিবার ডাল ভাতে দিনাতিপাত করছে, আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি যা বুঝি সেটা হচ্ছে যদি ইজিবাইক গুলোকে সরকার কর্তৃক ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হতো, তাহলে এই খাতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হত। আর বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য সরকারিভাবে অথবা বেসরকারিভাবে রিচার্জ সেন্টার খুলে দেওয়া যেত, তাতে সরকারও লাভবান হতো এবং দেশের নিম্নআয়ের এই মানুষগুলোর ডাল-ভাতের ব্যবস্থা হতো আমি আশা করি আপনারা এই অমানবিক কার্যকলাপ ও কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অসহায় ইজিবাইক পরিবারগুলোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে তাদের মুখে হাসি ফিরিয়ে দেবেন। তোফাজ্জল হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি ।
Leave a Reply