নিজস্ব ডেক্সঃ দীর্ঘ ৬ বছর পর আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার রহস্য উৎঘাটন করেছে পিবিআই। মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ শাহাজালালকে চৌয়ারা পুরাতন বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ০৯ই মার্চ ২০১৫সালে ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ রিফাতের এর মৃত দেহ তাঁর বাড়ী থেকে প্রায় ০৪ কিলোমিটার দূরে ধনপুর গ্রামের সোনাইছড়ি গাংয়ের উত্তর পাশের পানিতে মস্তক বিচ্ছন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সংক্রান্তে নিহতের মা জোৎস্না বেগম অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে সদর দক্ষিন থানার মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি সদর দক্ষিন থানা পুলিশ প্রায় ১১ মাস তদন্ত করেন এবং পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডি কুমিল্লা এর উপর অর্পিত হয়। সিআইডি কুমিল্লা দীর্ঘদিন তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট সত্য ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দাখিল করলে বাদীর না-রাজীর আবেদন ক্রমে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম জেলা প্রধান পিবিআই কুমিল্লাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
ডিআইজি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার) পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই কুমিল্লা জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান এর সর্বিক সহযোগিতায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব জনাব মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল এর পরিচালনায় মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন আহমেদ মামলাটি তদন্ত করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, প্রায় ০৬ বছর আগের ঘটনা ২০১৫ সালের মার্চের দিকে রাতের বেলা তার পার্শবর্তী এলাকার তার পরিচিত বন্ধু মোঃ নাসির উদ্দীন তার নিকট একটি মোটর সাইকেল নিয়ে আসে বর্ডার এর ওপারে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। সে জানতে চায় মোটর সাইকেলটি কার নাসির জানায় সে এবং রানা রিফাতকে মেরে মোটর সাইকেলটি নিয়ে আসছে। পরে শাহাজালাল মোটর সাইকেলটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার জামাল নামক এক ব্যাক্তির নিকট প্রদান করে পরে টাকা দিবে বলে জানায়। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে জামাল জানায় এটি মার্ডারের হোন্ডা টাকা দেওয়া যাবে না। তারপর জামাল এসে নাসিরের কাছে এসে মূল ঘটনা জানতে পারে যে, ভিকটিম রিফাতকে নাসির এবং রানা মিলে তাকে গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে লাশটি সোনাইছড়ি গাংয়ের পানিতে ফেলে হোন্ডাটি নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পিবিআই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মহোদয় জনাব মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এই হত্যা মামলাটি দীর্ঘদিন যাবত থানা পুলিশ এবং সিআইডি তদন্ত করেছে। এটি ০১টি ক্লুলেস হত্যা মামলা। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেফতার করে। আসামীকে হত্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। পরবর্তী তদন্তে মামলার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটিত হবে।
আসামীকে গত ১৪ই জুলাই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী মোঃ শাহাজালাল নিজেকে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামীদের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
Leave a Reply