মহিদুল ইসলাম( শাহীন) বটিয়াঘাটা >>
বটিয়াঘাটা উপজেলা ৭ ইউনিয়ন ও ৬৩ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ উপজেলায় চলতি বছরে ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। যা উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫হাজার ১১৩ মেট্রিক টন। তার মধ্যে হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৪শ ৬০ হেক্টর জমিতে। যা গড় উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ১শ ৬১ মেট্রিক টন,এছাড়া উপসি জাতের ধান চাষ হয়েছে ২ হাজার ৬শ ৪০ হেক্টর জমিতে যা গড় উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৭হাজার ৯শ ৫২ মেট্রিক টন। বোরো চাষিদের সঙ্গে আলাপ কালে জানাগেছে,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শামীম আরা নিপা,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শরিফুল ইসলাম,সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ শওকাত আলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে আঃ গফফার গাজী, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সরদার আঃ মান্নান, এস এম জাফিরুল হাচান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত জীবনানন্দ রায়, আব্দুল হাই খান, আনিসুর রহমান, দীপন কুমার হালদার, দীপংকর মন্ডল, তারিকুল ইসলাম, বিষাদ সিন্ধু মন্ডল, নিবেদিতা বাছাড়, মোস্তাফিজুর রহমান, পিন্টু মল্লিক, ইলোরা আক্তার তাদের সার্বক্ষনিক তদারকি, কৃষকের পাশে যেয়ে দিনরাত খোঁজখবর নেওয়ার কারণে প্রতি বছর বোরো চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার চাষকৃত বোরো ধানের জাতগুলো হচ্ছে হাইব্রিড এস এল এইট এইচ যা চাষ হয়েছে ৪শ ৮০ হেক্টর জমিতে, হাইব্রিড হিরা যা চাষ হয়েছে ৩শ ৭০ হেক্টর জমিতে, হাইব্রিড মেটাল যা চাষ হয়েছে ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া উপসী ২৮ জাতের ধান চাষ হয়েছে ১হাজার ২শ ৮০ হেক্টর জমিতে, উপসী ৬৭ জাতের ধান চাষ হয়েছে ৪শ ৯০ হেক্টর জমিতে। সব থেকে বেশি চাষ হয়েছে আমিরপুর ইউনিয়নে। বুনারাবাদের কৃষক দাউদ শেখ, ভান্ডারকোটের কৃষক আসলাম হোসেন, আমিরপুরের কৃষক হাফিজ ও গাওঘরার কৃষক আসাদুল বলেন, দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসাররা প্রতিদিন বোরো খেতে এসে খোঁজখবর নেন বা বিভিন্ন প্রকার পরামর্শর কারণে ধান এবার ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি অন্য বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন হবে।
সার্বিক বিষয় বটিয়াঘাটা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের কৃষি বান্ধব সরকার কত্তৃক বিভিন্ন উপকরণ কৃষকদের মাঝে ফ্রি দেওয়ার কারণে কৃষক বোরো চাষে ঝুকছে। আমার উপসহকারী কৃষি অফিসারসহ ২২ জন অফিসার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চৈত্রর খরার মধ্যেও কৃষকের পাশে যেয়ে খোঁজখবর নেন এবং পোকা দমনে তাৎক্ষণিক সমাধান করে থাকেন। যে কারণে প্রতি বছর বোরো ধান চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করি যদি কোন ধরনের দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষক অধিক লাভবান হবে।
Leave a Reply